আজ বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা পড়লে যা করবেন

জুতা শুধুমাত্র ফ্যাশানের অনুষঙ্গ নয়, পায়ের সুরক্ষা ও ময়লা থেকে পা-কে নিরাপদ রাখতে জুতা ছাড়া কোন বিকল্পই নেই। নতুন জুতা শুধু যে আমরা উৎসব পার্বনে কিনি বিষয়টা মোটেও এমন নয়। যেকোন দরকারেই জুতা কেনার প্রয়োজন হতে পারে। ধরুন আপনি চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, পুরাতন জুতা রেখে আনকোরা নতুন জুতো জোড়া পড়ে গেলেন। কিন্তু কিচ্ছুক্ষণ পরেই বুঝতে পারলেন ভুল করে ফেলেছেন। পায়ে জ্বালাপোড়া হচ্ছে, নতুন জুতার কারণে আপনার পায়ে ফোস্কা পড়ে গেছে। যদি পায়ে ফোস্কা পড়ে তবে কি করবেন জেনে নিন।

নারিকেল তেলঃ
নারিকেল তেল জুতা স্যান্ডেল থেকে পায়ে পরা ফোস্কা সারাতে সব থেকে ভালো উপাদান। এক চা চামচ কর্পূর এর সাথে সামান্য নারিকেল তেল মিশিয়ে আপনার পায়ের ফোস্কা পড়া জায়গাতে লাগান। দিনে দুইবার এটি লাগান দেখবেন তাড়াতাড়ি ফোস্কা সারার সাথে সাথে এটি আক্রান্ত জায়গার চুল্কানিও কমিয়ে দেবে। আপনি চাইলে জুতা পরার আগেও নারিকেল তেল লাগিয়ে নিতে পারেন এতে পায়ে ফোস্কা পরবে না।

লবনঃ
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে ফোস্কা পড়া জায়গা ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এতে জ্বালাপোড়া কমবে এবং ফোস্কার ফুলে উঠা অনেকাংশে কমে যাবে বেশ সহজেই।

মধুঃ
মধু হচ্ছে পায়ের ফোস্কা সারিয়ে তুলতে আরেকটি উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান। আপনার পায়ের ফোস্কা পরা জায়গাটাতে দিনে তিনবার খাঁটি মধু লাগিয়ে দেখুন, দেখবেন পায়ের ফোস্কা কেমন শুকিয়ে যাচ্ছে। মধুর উপাদান সমূহ আপনার পায়ের ক্ষত দ্রুত শুকানো সহ যেকোন সংক্রামন থেকে রক্ষা করে।

টুথপেস্টেঃ
খুব সহজ ঘরোয়া সমাধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টুথপেস্টের ব্যবহার। ফোস্কা পড়া স্থানে যতো দ্রুত সম্ভব টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এতে ফুলে উঠা এবং ফোস্কার ভেতরের পানি খুব সহজেই কমে যাবে এবং এতে জ্বালাপোড়াও কমে আসবে অনেক।

ডিমঃ
ফোস্কা পড়া স্থানে দ্রুত ডিমের সাদা অংশ লাগিয়ে নিলে ফোস্কার সমস্যা থেকে অনেক ভালো রেহাই পাওয়া যায়। অনেক সময় দ্রুত ডিমের ব্যবহারে চামড়ায় ফোস্কাই পড়ে না।

চালের আটাঃ
চালের আটা জুতা থেকে পায়ে পরা ফোস্কার দাগ তুলতে সাহায্য করে। দুই থেকে তিন টেবিল চামচ চালের আটার সাথে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এরপর ফোস্কা শুকানো উঠা জায়গাটায় পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন যতক্ষন না শুয়ে যায় এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার করতেই দাগ উঠে যাবে।

গ্রিন টিঃ
গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান খুব দ্রুত ফোলা কমাতে এবং জ্বালা বন্ধ করতে সহায়তা করে। যদি হাতের কাছে গ্রিন টি না থাকে তাহলে ব্ল্যাক টি দিয়েও কাজ চালাতে পারেন। এতেও ভালো ফল পাবেন।

অ্যালোভেরা জেলঃ
ফোস্কা পড়ার জ্বালা পোড়া থেকে মুক্তি পেতে আপনি অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। সরাসরি অ্যালোভেরা কাণ্ড থেকে জেল নিয়ে আক্রান্ত জায়গাতে লাগান, এবার শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে পর পর ব্যবহার করলে আপনার ফোস্কার জ্বালা পোড়া কমে যাবে।

শেয়ার করুন সবার সাথেঃ

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ